স্বদেশ ডেস্ক:
যশোরের বেনাপোল সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আর নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
সরকারি সফর শেষে উগান্ডা থেকে দেশে ফিরে আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন… আমি আজ দুপুরে এসেছি (উগান্ডা থেকে)। আমি ডমিস্টিক (অভ্যন্তরীণ) কোনো বিষয়ে এখনো মনোযোগ দিতে পারিনি। অবশ্যই এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য থাকে। সেটি আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হবে। এ বিষয়ে আমরা এখন কথা বলতে চাই না।’
আজ সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। বিজিবি সদস্য নিহত নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, এগুলো আলোচনা হয়নি। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।’
বিজিবির যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ জামিল চৌধুরী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ২২ জানুয়ারি আনুমানিক ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারিদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে। পরে দায়িত্বরত বিজিবি টহলদল তাদের চ্যালেঞ্জ করলে তারা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহি মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈনিক মোহাম্মদ রইশুদ্দীন মারা গেছেন।
বিএসএফকে বিষয়টির ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানানোর পাশাপাশি কূটনৈতিকভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া মরদেহ বাংলাদেশে দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে সব পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।